মোঃ মিজানুর রহমান খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
আজ ১৫ আগস্ট রবিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসা  কর্তৃক সরকার ঘোষিত অনলাইন ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ভার্চুয়াল জুম মিটিং এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসা সুযোগ্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াহইয়া মোল্লা, ভার্চুয়াল মিটিং এর সঞ্চালনায় ছিলেন বিপিএড ম্যাডাম হাজরা পারভীন। উক্ত ভার্চুয়াল জুম মিটিং এর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মহা মূল্যবান বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।

এসময় ভার্চুয়াল মিটিংয়ে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন অত্র মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ফাইয়াজ রহমান ও আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ তাওহিদুর রহমান ও তাহমিদুর রহমান, হামদ ও নাতে অংশগ্রহণ করেন তাহমিদর রহমান , মাসরুর ইসলাম শাকিল তাহমিদুর রহমান ফাইয়াজ রহমান এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তাসনিম ও ফাতেমা খাতুন। দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সংযুক্ত ছিলেন, তারা হলেন অত্র মাদ্রাসার অধ্যাপক মাওলানা ইয়াহিয়া মোল্লা ,উপাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ,মাওলানা আবুল হাসান ,মাওলানা কোবির হোসাইন , মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান,আইসিটি শিক্ষক মোড়ল জাহিদুর রহমান ,গনিত শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসেন, কৃষি শিক্ষিকা মরিয়ম খানম , ইংরেজি প্রভাষক শেখ ইমরান হোসেন, সহ অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ ও ছাত্রছাত্রী বৃন্দ। এ সময় মাদ্রাসার সুযোগ্য অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াহিয়া বলেন,, বঙ্গবন্ধু এই দেশ ও জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। এই মহান নেতার সুযোগ্য নেতৃত্বগুণে বাঙালি জাতি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। তাঁর জন্ম না হলে কখনোই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হতো না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।

ইবতেদায়ী প্রধান শাহ আলম গাজী বলেন বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের যেসব সদস্য ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় কখনও আসেনি যে, বাঙালিরা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করতে পারে। যে বাঙালিকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন সেই বাঙালিরাই তাঁকে হত্যা করে। শুধু জাতির পিতা নয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব থেকে শুরু করে ছোট্ট রাসেল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের ২০ জন সদস্যকে হত্যা করে ঘাতকরা। এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সংসদকে কলঙ্কিত করে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টম্বর ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো এবং ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বৈদেশিক দূতাবাসে পদায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়েছে যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সর্বশেষ ১৫আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তার সপরিবার যারা নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া চেয়ে মোনাজাত শেষ করেন মাওলানা মোঃ শাহ আলম গাজী। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুক আমিন।